প্রশাসনিক নির্দেশ অমান‍্য করে লকডাউনের দিনে খুললো পঞ্চায়েত দপ্তর : বসলো সালিশী সভা

31st August 2020 4:23 pm হুগলী
প্রশাসনিক নির্দেশ অমান‍্য করে লকডাউনের দিনে খুললো পঞ্চায়েত দপ্তর : বসলো সালিশী সভা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) :  সিঙ্গুরের নসিবপুর পঞ্চায়েতে সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনে রাজ্য সরকারের লকডাউন না মেনে পঞ্চায়েতের কার্যালয় খুলে রেখে শালিসি সভা করা হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রশাসন যখন বলছেন  লকডাউনে ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন । ঠিক সেই  সময় হুগলির নসিবপুর পঞ্চায়েতের গিয়ে দেখা গেল অন্য ছবি । কার্যালয় খুলে রেখে শালিসি সভা করলেন নসিবপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং পঞ্চায়েতের সদস্যরা।লক ডাউনে যেখানে হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকে দেখা গেল অতি সক্রিয় ভূমিকায় ,  সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেড়োলেই পড়তে হচ্ছে পুলিশের শাস্তির মুখে,সেখানে নসিবপুর পঞ্চায়েতের লক ডাউনের দিন সালিশি সভা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন । পঞ্চায়েত সূত্রে খবর বহু দিনের সমস্যা মিটমাট করা হচ্ছে । পুলিশ যদি সব করতো পঞ্চায়েতকে কিছু করতে হত না। তাহলে পুলিশ সব করতো । আমাদের বলা হয় সব কেস থানায় পাঠালে আপনারা কি করতে আছেন। কিছু কেস আপনারা মিটিয়ে দেন। পঞ্চায়েত খোলা রাখা নিয়ে বলেন লকডাউনে ওটা কোন কথা নয়। পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এক পরিবারের গন্ডগোল হচ্ছিল সেই কারনে বসিয়ে  সমাধান করার চেষ্টা চলছে। লকডাউনের দিনে খুন হয়ে গেলে তখন লকডাউন বলে কিছু শুনবে না। জনগনের জন‍্য  এটা আমাদের করতে হচ্ছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।